ফ্লোরেন্স

টাস্কানির রত্নখ্যাত এবং ইতালির অন্যতম মনোরম শহর ফ্লোরেন্স রোম থেকে মাত্র 280 কিমি দূরে অবস্থিত। রেনেসাঁর জন্মস্থান হিসাবে পরিচিত, ফ্লোরেন্সের প্রতিটি ভবনে ইতিহাসের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়। শহরটি দেখার সর্বোত্তম উপায় হল পায়ে হেঁটে এখানকার সরু পাথুরে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো যেখান প্রায়শই যান চলাচল বন্ধ থাকে। শহরটিতে বেশ কিছু বিশালাকৃতির গির্জা এবং বিলাসবহুল প্রাসাদ রয়েছে। পন্টে ভেচ্চিও, পিয়াজ্জা ডেলা সিগ্নোরিয়া, এবং বিখ্যাত সান্তা মারিয়া দেল ফিওরে ক্যাথিড্রালের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো একে অপরের থেকে স্বল্প দূরত্বের মধ্যে অবস্থিত।

ডুব্রোভনিক

অ্যাড্রিয়াটিক উপকূলে দক্ষিণ ক্রোয়েশিয়ার একটি মনোমুগ্ধকর শহর ডুব্রোভনিককে প্রায়ই "অ্যাড্রিয়াটিকের মুক্তা" বলা হয়। শহরটির ঐতিহাসিক ওল্ড টাউন ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি পেয়েছে, যা সংকীর্ণ রাস্তা, প্রাচীন প্রাসাদ এবং গীর্জার জন্য বিখ্যাত। শহরটির সিটি ওয়াল বরাবর প্রায় 2 কিমি প্রসারিত রাস্তা রয়েছে, যেখানে হাটলে সমুদ্র এবং পোড়ামাটির ছাদের শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য দেখায়। হাটার জন্য সেরা রাস্তাটি পাইল গেট থেকে শুরু হয় এবং সেখানে মধ্যযুগীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়৷

প্যারিস

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস হাঁটার জন্য বিশ্বের অন্যতম সুন্দর শহর। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক শহরটিতে আসে। সেইন নদীর তীরে অবস্থিত প্যারিস অতুলনীয় পরিবেশ এবং সমৃদ্ধ স্থাপত্য ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত। দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে আইফেল টাওয়ার, নটরডেম এবং ল্যুভর। টুইলেরিস গার্ডেন এবং ল্যুভরের মধ্য দিয়ে সেইন নদী বরাবর হাঁটা বা ঐতিহাসিক সেন্ট-জার্মেইনের আরামদায়ক ক্যাফে এবং ঐতিহাসিক ভবনগুলো বিশেষভাবে আনন্দদায়ক।

বোস্টন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসে অবস্থিত বোস্টন সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম শহরগুলির মধ্যে একটি, বোস্টন আধুনিক শহুরে নকশার সাথে ঔপনিবেশিক স্থাপত্যকে একত্রিত করেছে। ইতিহাসপ্রেমীদের বীকন হিল পরিদর্শন করা উচিত, যা এর কবলস্টোন স্ট্রিট এবং ইটের বাড়ির জন্য বিখ্যাত। শহরটিকে আরও গভীরভাবে দেখার জন্য, ফ্রিডম ট্রেইল অনুসরণ করুন, এটি বোস্টন কমন এবং পল রেভার হাউস সহ 16টি আইকনিক সাইট সমৃদ্ধ 4-কিমি দীর্ঘ হাটাপথ।

এডিনবরা

স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবরায় আধুনিক সংস্কৃতির সাথে মধ্যযুগীয় ইতিহাস এবং অত্যাশ্চর্য প্রাকৃতিক দৃশ্য সংমিশ্রিত হয়েছে। পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত শহরটি মনোরম ওল্ড এবং নিউ টাউনের জন্য বিখ্যাত, উভয়ই ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। শহরটিতে হাঁটার জন্য আদর্শ জায়গা হল মধ্যযুগীয় ওল্ড টাউনের সরু এবং রহস্যময় অলি-গলি। মার্জিত জর্জিয়ান স্থাপত্যের জন্য নিউ টাউন ঘুরে দেখুন। হিলটপ ভ্যান্টেজ পয়েন্ট আর্থারস সীট থেকে আপনি শহরটির মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন।

জুরিখ

সুইজারল্যান্ডের বৃহত্তম শহর জুরিখ সুরম্য আল্পস দ্বারা বেষ্টিত জুরিখ লেকের উত্তর তীরে অবস্থিত। শহরটি অবসর সময়ে হাঁটার জন্য উপযুক্ত জায়গা। বিশেষ করে শহরটির লিন্ডেনহফ লেকের প্রমোনেডের চারপাশে হেটে দারুণ মজা পাওয়া যায়। যারা ইতিহাসের প্রতি আগ্রহী তাদের ওল্ড টাউন, অলস্টাড পরিদর্শন করা উচিৎ, সেইসাথে সংকীর্ণ রাস্তা এবং স্থাপত্য আশ্চর্য গ্রসমুন্সটার গির্জা এবং ফ্রমুন্সটার ক্যাথেড্রালও ঘুরে দেখা উচিত, যেখানে মার্ক চাগাল এবং অগাস্টো জিয়াকোমেত্তির স্টেইন্ড গ্লাস রয়েছে।

পোর্তো

পর্তুগালের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর পোর্তো ডাউরো নদীর তীরে অবস্থিত এবং এটি তার মনোমুগ্ধকর ঐতিহাসিক কেন্দ্র এবং উজ্জ্বল রঙের ঘরের জন্য পরিচিত। শহরটির রিবেরা জেলা ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট, যা সরু পাথুরে রাস্তা এবং মধ্যযুগীয় ভবনের জন্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে থাকে। এই এলাকার মধ্য দিয়ে হাঁটলে কাসা ডো ইনফ্যান্টে এবং সেন্ট ফ্রান্সিসের চার্চ সহ অনেক বিখ্যাত স্থাপনা দেখা যায়।